Banner Advertise

Sunday, October 14, 2012

[chottala.com] জজ মিয়া সিনড্রম



Sir,This is the best article you have ever written. Your political analysis on the current affairs of BD is accurate and completeআসাফুদদৌলা সাহেব আগে বিশদ লিখতেন কিনতু বয়সের ভারে এবং আদালতের হুশিয়ারিতে তিনি এখন চুপ হয়ে গেছেন।পুলিশের গোয়েনদাদের ব্যর্থতার কারনে পুলিশের মহাপরিচালককে 5star General এর পদমর্যায় উননতি দেওয়া হোল। হিরক রাজার দেশে যে যত খারাপ কাজ করবে তাকে তত উপরে উঠান হবে। যেমনটি করা হোল আবুল হোসেনের বেলায়।আপনার প্রতিটি পয়েনট লজিকাল।আওমিলিগের এমপিরা টকশোতে কি সুনদর সরকারি পলিসি ডিফেনড করে যাচছে! ৪২ বছরের ইতিহাসে নাকি এখন সবচে ভাল Law and order situation. দারোয়ান এনামুলকে আর কোনদিন খুজে পাওয়া যাবেনা।আমার ভয় হয় আপনাকে না কবে গুম করে দেয় !ইলিয়াস আলিকে কি আর পাওয়া যাবে? নিরব জাতি তাদের নিরবতা এবং নিষক্রয়তার জন্য People of BD have to pay high price once again.
 

জজ মিয়া সিনড্রম

ড. আসিফ নজরুল

জজ মিয়া সিনড্রমে পূতিগন্ধময় হয়ে উঠবে মানবাধিকার, আইনের শাসন আর গণতন্ত্র

জজ মিয়ার আবির্ভাব ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় পৈশাচিক গ্রেনেড হামলার পর। কয়েক মাস 'ব্যাপক তদন্তের' পর বিএনপি সরকার এ ঘটনার জন্য জজ মিয়া নামক একজনকে দায়ী করে সংবাদমাধ্যমে হাজির করে। পলকা দেহের ছিঁচকে অপরাধী জজ মিয়া আর্জেস বোমা দূরের কথা, শেখ হাসিনার জনসভায় ঢিল মারার সামর্থ্য রাখেন কি না, তা নিয়েই মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলো। পরে গণমাধ্যম আবিষ্কার করে যে জজ মিয়া বানানো অপরাধী, তাঁর পরিবারকে টাকা-পয়সা দিয়ে তাঁকে অপরাধী হতে রাজি করা হয়েছে। জজ মিয়া কি গ্রেনেড মারতে পারেন?—প্রথম আলোর এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর এক আত্মীয় 'হেসেই খুন হয়ে' গিয়েছিলেন!
জজ মিয়া এরপর একধরনের কিংবদন্তিতে পরিণত হন। বাংলা ভাষা পায় নতুন একটি শব্দ। গবেট ধরনের কাণ্ডকীর্তি করে কোনো কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার নাম হয় 'জজ মিয়া বানানো'। সাম্প্রতিক কালে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সাংবাদিকেরা বারবার সরকারকে জজ মিয়া নাটক না সাজানোর অনুরোধ করেছিলেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার তা-ই করার চেষ্টা করছে। একজন না, সরকার বরং সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডে সাতজন জজ মিয়াকে হাজির করেছে! এই জজ মিয়াদের নাম বলার দিন গোলমেলে বক্তব্য দিয়ে বাক্পটু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণের মুখে আকস্মিক প্রস্থান করেছেন। পরদিন র‌্যাবের চৌকস মুখপাত্রকে দিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
এই একটি ঘটনা শুধু নয়, বিভিন্ন অপর্কীতি ঢাকার জন্য নানা ধরনের জজ মিয়াকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বর্তমানে। সাগর-রুনির ঘটনার মতো অবিকল না হোক, কোনো না কোনোভাবে জজ মিয়াদের মানবঢাল গড়ে আসল অপরাধীদের রক্ষা করতে চাইছে সরকার। আমরা যদি শুধু সাম্প্রতিক কালের কয়েকটি ঘটনার বিশ্লেষণ করি, তা হলে এসব সন্দেহ না হওয়ার কোনো কারণ নেই।

২.
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত যে সাতজনের নাম বলেছেন, তাঁদের পাঁচজন র‌্যাব ও পুলিশের হাতে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চিকিৎসক নারায়ণ হত্যা মামলায়। র‌্যাব তখন দাবি করেছিল যে নারায়ণ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সাইফুর, সহকারী তরিকুল এবং গাড়িচালক কামরুলও জড়িত ছিলেন। র‌্যাবের বক্তব্য অনুসারে সাইফুর ও তরিকুল গাড়িচালক কামরুলকে নারায়ণের বাসায় ১০৮ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ টাকা ডাকাতি করার জন্য প্ররোচিত করেন, এরপর কামরুল পেশাদার অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন (২ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো)। আদালতে তখন দুজন অপরাধীর দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি অনুসারে আসামিরা সেখানে গিয়েছিলেন ডাকাতি করতে, কিন্তু নারায়ণ জেগে উঠলে তাঁকে হত্যা করা হয়। তার মানে নারায়ণ হত্যার সুস্পষ্ট মোটিভ ছিল ডাকাতি। কিন্তু সাগর-রুনির বাসায় হত্যাকাণ্ডের দিন কোনো ডাকাতি হয়নি। তা হলে একই পেশাদার খুনিরা কী কারণে সাগর-রুনিকে হত্যা করেছিল নারায়ণকে হত্যার কয়েক মাস আগে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, নারায়ণের গাড়িচালক কামরুলও সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্ট ছিলেন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার আগে থেকে কামরুল চিকিৎসক নারায়ণের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ছিলেন, সে অবস্থায় কীভাবে তাঁর পক্ষে সম্পূর্ণ ভিন্ন জগতের দুজনকে খুনের সঙ্গে জড়িত হওয়া সম্ভব? নারায়ণ হত্যাকাণ্ডের বিফ্রিংয়ের দিন র‌্যাব সন্দেহভাজনদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করেছিল, সাগর-রুনির সময় কেন তা করা হলো না?
পেছনে গেলে প্রশ্ন আরও বাড়বে, এর কোনো কোনোটি বেশ অস্বস্তিকর। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময় ৪৮ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেছিলেন: মামলার তদন্তে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এই মামলার তদারক করছেন। 'প্রধানমন্ত্রীর তদারকিতে থাকা' একটি মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, এটি পুলিশের সর্বোচ্চ ব্যক্তি জানানোর কয়েক মাস পর পুলিশ কেন সর্বোচ্চ আদালতে জানাল যে মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতিই হয়নি? পুলিশের মহাপরিদর্শক কি তা হলে ঘটা করে অসত্য কথা বলেছিলেন, নাকি তাঁর বর্ণিত অগ্রগতি পরে ধামাচাপা দেওয়া হয় তাঁর চেয়েও শক্তিশালী কারও নির্দেশে? হত্যাকাণ্ডের পর পর পুলিশ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছিলেন যে খুন করেছে অপেশাদার, খুনে অনভিজ্ঞ মানুষ। এখন কেন পেশাদার খুনিদের কথা বলা হচ্ছে তা হলে? আর রুনি কি এই পেশাদার খুনিদের রান্না করে খাইয়ে আপ্যায়ন করেছিলেন খুন হওয়ার আগে! পেশাদার খুনিদের পক্ষে কি সম্ভব সাগর-রুনির একমাত্র সন্তান মেঘকে জীবিত অবস্থায় ঘটনাস্থলে রেখে যাওয়া? আর র‌্যাবের ১০ অক্টোবরের বক্তব্যমতে, যখন এই পাঁচ পেশাদার খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি, তখন কিসের ভিত্তিতে তাঁরাই সাগর-রুনির সন্দেহভাজন হত্যাকারী তা বলা হচ্ছে?
এবার আসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্যমতে অভিযুক্ত তানভীর ও দারোয়ান এনামুল প্রসঙ্গে। তানভিরকে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দারা অনেকবার গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়। তাঁর মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার জব্দের পর তন্নতন্ন করে পরীক্ষা করা হয়। এর পরও অক্টোবরের আগে তাঁকে গ্রেপ্তার না করা বা তাঁর মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ফেরত দেওয়ার মানে হলো হত্যাকাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি পুলিশ। এখন হঠাৎ করে তাঁকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন, স্কলাসটিকা স্কুলের কর্মকর্তা তানভীর চিকিৎসক নারায়ণের ড্রাইভার ও পাঁচ পেশাদার খুনির সঙ্গে সংযুক্ত হলেন কীভাবে? যে দারোয়ান এনামুলের খোঁজের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত হলো, তাঁকে পুলিশ প্রথমে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দিয়েছিল কেন? প্রথম থেকেই সন্দেহভাজন অভিযুক্ত বা গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এই ব্যক্তির মোবাইল ফোন জব্দ করে তা সরকারি হেফাজতে না রেখে কেন তদন্তকারী একজন কর্মকর্তার ভাইয়ের কাছে রেখে আড়াল করা হয়েছিল?
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে দুটো ধারণা চালু আছে। এক: তাঁরা সরকারের কোনো এক ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পেয়েছিলেন, তাই তাঁদের মেরে ফেলা হয়। আরও ব্যাপকভাবে প্রচারিত ধারণা হচ্ছে, সাগর-রুনির হত্যাকারীরা সরকারপন্থী বা একসময় সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের গডফাদার সরকারের আরও ঘনিষ্ঠ কেউ, তিনিই সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারও থেকে হত্যাকারীদের দায়মুক্তির আশ্বাস পেয়েছেন। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হলে এসব ধারণার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। নির্মম খুনিদের ক্ষমা করার মানসিকতা এই সরকারের রয়েছে, তা আমরা সংবিধানে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির (কার্যত প্রধানমন্ত্রীর) ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকারের অপপ্রয়োগের মধ্য দিয়ে দেখেছি।

৩.
জজ মিয়া ধরনের গল্প ফাঁদার চেষ্টার লক্ষণ রয়েছে রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর, পাশবিক ও অমানবিক আক্রমণের ঘটনায়ও। এ ঘটনার মূল দায় চাপানোর চেষ্টা চলেছে বিএনপির স্থানীয় সাংসদের ওপর। অথচ আমরা পত্রপত্রিকার প্রতিবেদনে পাই ভিন্ন চিত্র। রামুর ঘটনায় প্রথম মিটিং-মিছিলের মাধ্যমে উত্তেজনাকর ও উসকানিমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মৎস্যজীবী লীগ। পরে এতে রোহিঙ্গা, জামায়াত ও বিএনপির কর্মীরা যোগ দেন। উত্তেজিত জনসমাগমে ভাষণ দেন বিএনপির স্থানীয় সাংসদ, আওয়ামী লীগের স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানার ওসি। ওসি পাহারারত বৌদ্ধ যুবকদের কিছু হবে না বলে সরে যেতে বলার কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ আর লুটতরাজের ঘটনা। আক্রমণকালে ব্যবহার করা হয় গান পাউডার, পেট্রল ও কংক্রিটের ব্লক। এই বর্বরোচিত হামলার প্রস্তুতি ও হামলা চলে অন্তত ছয় ঘণ্টা ধরে এবং এই পুরো সময় নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে পুলিশ, প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস।
প্রশ্ন আসে, আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশ, প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস কি বিএনপির সাংসদের নির্দেশে আক্রমণকালে চুপ হয়ে বসে ছিল? সরকারি দলের লোকজন প্রথম মিটিং-মিছিল শুরু করেছিল কি বিএনপির সাংসদের নির্দেশে? গান পাউডার আর সরকারি উন্নয়নকাজে ব্যবহারের জন্য বানানো কংক্রিট ব্লক কি বিরোধী দলের সাংসদের হেফাজতে থাকে? যে সরকার আট মাসে রাজধানীতে সাগর-রুনির মতো সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনো চলছে বলছে, সেই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বুঝে গেলেন রামুর ঘটনা বিএনপির সাংসদ করেছেন? তদন্ত চলাকালে দেশের প্রধানমন্ত্রীই বা একই অভিযোগ করেন কীভাবে? প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ অসত্য, এমন তথ্যপ্রমাণ পেলে তদন্তরত পুলিশ বা গোয়েন্দার কি এখন বুকের পাটা হবে তা বলার? তা হলে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে কীভাবে?
বিএনপির সাংসদ হয়তো উত্তেজনাকর বক্তব্য প্রদান করেছেন সেদিন, অন্য কোনোভাবেও এ ঘটনার তিনি ভাগীদার হতে পারেন। কিন্তু ছাত্রলীগের মিছিল, গান পাউডার, সুদক্ষ ও পেশাদারভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা আর পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামু সফরের পর উখিয়া আর পটিয়াতেও) দায় আড়াল করতে চাইলে তাঁকে বা অন্য কাউকে জজ মিয়া বানাতে হবে সরকারকে।

৪.
বিএনপি জজ মিয়া বানিয়েছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জঘন্য হত্যা ও হত্যা-প্রচেষ্টার দায় আড়াল করতে। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ জজ মিয়া বানাচ্ছে সাগর-রুনির মতো নির্বিরোধী দুজন তরুণ সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডের দায় আড়াল করতে! হয়তো জজ মিয়া বানাবে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর চরম লজ্জাকর অপরাধের দায় আড়াল করার জন্যও। অভিযোগ রয়েছে যে এর আগে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির অভিযোগ এবং কিছু সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও মূল বা বড় অপরাধীদের আড়াল করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চুনোপুঁটি বা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মানুষকে। এর একটি বড় লক্ষণ আমরা দেখতে পাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাতেও।
রাজশাহীতে পুলিশের সামনে পিস্তলে গুলি ভরে, পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা হামলা করেছিল ছাত্রশিবিরের ওপর। এর অসংখ্য স্পষ্ট, প্রামাণ্য আর অকাট্য ছবি ছাপা হলো পত্রিকায়। অথচ এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হলো গুলির শিকার ছাত্রশিবিরের কর্মীদের! নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুলিশ অস্ত্রধারী ছাত্রলীগের কারও টিকিটি স্পর্শ করেনি, কিন্তু দুই দিন পর বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর শান্তিপূর্ণ মিছিলে বেধড়কভাবে লাঠিপেটা করেছে। কাজেই এটা শুধু বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধের বিষয় নয়। এটি নিজের অপরাধ আড়াল করা কিংবা ভিন্নমত দমনের বেপরোয়া মানসিকতা। দিনের পর দিন এটি করে পার পেয়ে গেলে একপর্যায়ে জজ মিয়া গল্প বানানোর দুঃসাহস সৃষ্টি হয় সরকারের মধ্যে। এখনো তা-ই হচ্ছে।
গুণীজনদের কাছে আমরা শিখেছি যে অনেক লোককে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানানো যায়, কিছু লোককে অনেক সময়ের জন্যও বোকা বানানো যায়, কিন্তু অনেক লোককে দীর্ঘ সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় না। আমরা নাগরিকেরা যদি শক্তভাবে এই বার্তা দিতে ব্যর্থ হই, তা হলে অচিরেই জজ মিয়া নির্মাতাদের হাতে বিপন্ন হবে সমাজ, রাজনীতি আর দেশ। জজ মিয়া সিনড্রমে পূতিগন্ধময় হয়ে উঠবে মানবাধিকার, আইনের শাসন আর গণতন্ত্র। রামুর মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘটনায় কাউকে জজ মিয়া সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা হলে বাংলাদেশের জন্য চরম বিপর্যয়কর এমন কিছু আবার ঘটার আশঙ্কাও থাকবে।
 আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

(প্রথম আলো, ১৩/১০/২০১২)



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___